Banner

"দুর্নীতি ও অর্থপাচার রোধে বিএফআইইউ ও দুদকসহ প্রতিষ্ঠানের সংস্কার অপরিহার্য: টিআইবি"

 ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) সম্প্রতি একটি বিবৃতিতে দুর্নীতি ও অর্থপাচারের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে দেশের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে ঢেলে সাজানোর প্রয়োজনীয়তার কথা জানিয়েছে। সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইনটেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ), দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), সিআইডি, এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)-এর মতো প্রতিষ্ঠানগুলোতে দলীয়করণ এবং অকার্যকর নেতৃত্বের কারণে দেশে দুর্নীতি ও অর্থপাচারের মতো অপরাধগুলো চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে।

ছবিঃ সংগৃহীত

ড. ইফতেখারুজ্জামান উল্লেখ করেন, সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাভেদ এবং তার স্ত্রী রুখমিলা জামান চৌধুরীর নামে যুক্তরাজ্যে বিপুল পরিমাণ অঘোষিত সম্পদের প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোন পদক্ষেপ নেয়নি। বিশেষ করে, ডিসেম্বর ২০২৩ থেকে এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রকাশিত হলেও এবং জনমনে ব্যাপক উদ্বেগ সৃষ্টির পরও কোন অগ্রগতি দেখা যায়নি। বিষয়টি তিনি "চরম হতাশাজনক" হিসেবে আখ্যা দেন।


তিনি আরও বলেন, টিআইবি এবং টিআই-ইউকের উদ্যোগে বিএফআইইউ, দুদক, সিআইডি, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এবং অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ে এই সম্পর্কিত সকল তথ্য-প্রমাণ ও নথি পাঠানো হয়েছে। কিন্তু তবুও কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। টিআইবি প্রশ্ন তুলেছে, এমন নিষ্ক্রিয়তা কি প্রমাণ করে না যে, এসব প্রতিষ্ঠানগুলোকে দলীয়করণের মাধ্যমে অকার্যকর করে রাখা হয়েছে?


ড. ইফতেখারুজ্জামান জোর দিয়ে বলেন, সাবেক ভূমিমন্ত্রীর বিদেশে বিপুল অঘোষিত সম্পদ অর্জনের ঘটনা শুধু হিমশৈলের চূড়ামাত্র। এ ধরনের ঘটনা দেশব্যাপী ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে বৈধতা দেওয়া হয়েছে, যা দেশের সুশাসন, গণতন্ত্র, এবং জবাবদিহিতার পক্ষে একটি বড় হুমকি হিসেবে দেখা দিয়েছে।


টিআইবি আরও সতর্ক করেছে যে, আর্থিক দুর্নীতির তদন্তের দায়িত্বে থাকা সংস্থাগুলোতে দলীয় ব্যক্তিদের নিয়োগ ও পদায়ন এবং তাদেরকে অনৈতিক সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে এসব সংস্থাগুলোকে করায়ত্ত করা হয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন, দেশের নতুন প্রজন্ম এবং ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফলশ্রুতিতে রাষ্ট্রকাঠামোর আমূল পরিবর্তনের একটি অংশ হিসেবে এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে ঢেলে সাজানো ছাড়া অন্য কোন বিকল্প নেই। অন্যথায় দুর্নীতিমুক্ত, সুশাসিত এবং গণতান্ত্রিক একটি রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে না।

No comments:

Banner

Powered by Blogger.