Banner

"পাগলা মসজিদের দানবাক্স থেকে উদ্ধার ৭ কোটি ২২ লাখ টাকা ও স্বর্ণ"

 কিশোরগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী পাগলা মসজিদের দানবাক্স থেকে আবারও বিপুল পরিমাণ অর্থ পাওয়া গেছে। এবারের দানবাক্স খোলার পর মোট ৭ কোটি ২২ লাখ ১৩ হাজার ৪৬ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া দানবাক্সে স্বর্ণ, রুপা এবং বিভিন্ন দেশের বৈদেশিক মুদ্রাও পাওয়া গেছে।

ছবিঃ সংগৃহীত

শনিবার (১৭ আগস্ট) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলা গণনার পর এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসক এবং পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ। সকাল ৮টায় মসজিদের ৯টি লোহার দানবাক্স খোলা হয়, এবং গণনা কাজ শুরু হয় সকাল সাড়ে ৯টায়। গণনা কাজ শেষ হয় সন্ধ্যা সোয়া ৭টায়। 


এবারের দানবাক্স খোলার সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসনের ১২ জন ম্যাজিস্ট্রেট, ৩০ জন সেনা সদস্য, ১৫ জন পুলিশ সদস্য এবং ৯ জন আনসার সদস্য। টাকাগুলো ২৮টি বস্তায় ভরে মসজিদের দ্বিতীয় তলার মেজেতে ঢেলে গণনার কাজ শুরু করা হয়। এই গণনা কাজে অংশগ্রহণ করেন ব্যাংকের ৭০ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং মাদ্রাসার ২৪৫ জন শিক্ষার্থী। 


জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ জানিয়েছেন, সাধারণত প্রতি তিন মাস পর পর দানবাক্স খোলা হয়, তবে এবার তা তিন মাস ২৬ দিন পর খোলা হয়েছে। মসজিদের দানের সব অর্থ ব্যাংকে জমা রাখা হয় এবং ব্যাংকের লভ্যাংশ থেকে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ ও অসুস্থ রোগীদের চিকিৎসায় ব্যয় করা হয়। তিনি আরও বলেন, দৃষ্টিনন্দন ইসলামিক কমপ্লেক্স নির্মাণের জন্যও এই অর্থ ব্যয় করা হবে।


এ বছরের ২০ এপ্রিল পাগলা মসজিদের দানবাক্স সর্বশেষ খোলা হয়েছিল, তখন মোট ৭ কোটি ৭৮ লাখ ৬৭ হাজার ৫৩৭ টাকা পাওয়া গিয়েছিল, যা তখনকার জন্য একটি রেকর্ড ছিল। সেই সময় ২২০ জনের একটি দল দীর্ঘ সাড়ে ১৮ ঘণ্টা ধরে টাকার গণনায় অংশ নিয়েছিল।


এবারের দানবাক্স খোলার ও গণনা কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তরিকুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ, এবং লেফটেন্যান্ট কর্নেল রিয়াজুল কবির। 


No comments:

Banner

Powered by Blogger.