**রোকেয়া প্রাচীর দেশদ্রোহী ষড়যন্ত্র: আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি, সামাজিক মাধ্যমে প্রতিবাদের ঝড়**

 **আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিবাদের ঝড়: রোকেয়া প্রাচীর দেশদ্রোহী ষড়যন্ত্র** 

ছবিঃ সংগৃহীত

রোকেয়া প্রাচীকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তীব্র প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। তিনি একটি ভারতীয় টিভি চ্যানেলের সাথে সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশ সম্পর্কে যে মন্তব্য করেছেন, তা দেশদ্রোহী ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখা হচ্ছে। তার বক্তব্যে বাংলাদেশকে সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে এবং বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায় ও নারীদের নিয়ে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ভারতকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তুলতে চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

নেটিজনরা তার এই কর্মকাণ্ডকে বাংলাদেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র হিসেবে উল্লেখ করে তাকে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির দাবি করেছেন। এছাড়া, তার সম্পদের উৎস নিয়ে প্রশ্ন তুলে দুদক ও এনবিআরের মাধ্যমে তার সম্পদের হিসাব নেয়ার দাবি করেছেন অনেকে। কিছু মানুষ তাকে বাংলাদেশ থেকে বের করে দেয়ার দাবিও তুলেছেন।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যক্তি তাদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। জাহিদ উর রহমান ফেসবুকে লিখেছেন, রোকেয়া প্রাচী ভারতীয়দের হয়ে কাজ করছেন এবং তার বক্তব্যের মাধ্যমে বাংলাদেশকে বিপদে ফেলার চেষ্টা করছেন। মোহাম্মদ দিদার হোসাইন উল্লেখ করেছেন, রোকেয়া প্রাচী ১৫ আগস্টের প্রসঙ্গে বলেন যে, "ঢাকা শহরের ৯০ শতাংশ বাড়িতে ডাকাতি হয়েছে এবং বাংলাদেশের সকল হিন্দুদের বাড়ি ও মন্দিরে ভাঙচুর করা হয়েছে, আগুন দেয়া হয়েছে।" দিদার প্রশ্ন তুলেন, "তাকে কি বলা যায়? তাকে রাষ্ট্রদ্রোহিতার জন্য আইনের আওতায় আনতে হবে।"

ড. সাখাওয়াত হোসেন শায়ান্ত লিখেছেন, "রোকেয়া প্রাচীর সাক্ষাৎকার দেখে মনে হলো যে, তিনি পরিকল্পিতভাবে দেশের বিরুদ্ধে কাজ করছেন এবং যারা তাকে ধাওয়া দিয়েছে তারা ভুল করেনি।" ইকবাল হাসান লিখেছেন, "রোকেয়া প্রাচীর নামে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হওয়া দরকার।"

ফাহাদ চৌধুরী লিখেছেন, "রোকেয়া প্রাচীর বিচার চাই। মিথ্যা, গুজব ও প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য তার বিরুদ্ধে কেন দেশদ্রোহিতার মামলা করে গ্রেফতার করা হবে না?" 

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের এই প্রতিবাদের ঢেউ ক্রমেই বাড়ছে, এবং রোকেয়া প্রাচীর বিরুদ্ধে কঠোর আইনি পদক্ষেপ নেয়ার দাবি উঠেছে সর্বত্র।